পার্বত্য অঞ্চলের আরেকটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নাম ত্রিপুরা। চাকমা ও মারমাদের পর ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এই জনগোষ্ঠী বাস করেন ।
ভাষা : ত্রিপুরাদের ভাষার নাম ককবরক।
সমাজ ব্যবস্থা : ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী সমাজে দলবদ্ধভাবে বাস করেন। দলকে তাঁরা দা বলে। তাঁদের মোট ৩৬টি দফা আছে। এর মধ্যে ১৬টি বাংলাদেশে বাকি ২০টি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রয়েছে। বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অধিকারী। তবে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেরা বাবার সম্পত্তি ও মেয়েরা মায়ের সম্পত্তি লাভ করে থাকেন।
ধর্ম : ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের অনুসারী। তবে বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং শিব ও কালী পূজা করেন। তাঁরা নিজন কিছু দেব-দেবীর উপাসনাও করেন । যেমন-গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য তাঁরা 'কের' পূজা করেন।
বাড়ি : ত্রিপুরাদের ঘরগুলো সাধারণত উঁচুতে হয় ও ঘরে উঠার জন্য সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়।
পোশাক: ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের নিচের অংশকে রিনাই ও উপরের অংশকে রিসা বলা হয়। মেয়েরা নানারকম অলংকার, পুঁতির মালা আর কানে নাভং নামে একপ্রকার দুল পরেন । ছেলেরা ধুতি, গামছা, লুঙ্গি, জামা পরেন।
উৎসব : ত্রিপুরা সমাজে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে উপলক্ষে নানা ধরনের আচার- অনুষ্ঠান পালিত হয়। তাঁদের নববর্ষের উৎসব বৈসু। এসময় ত্রিপুরা নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান ও আনন্দ করেন।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা, ধর্ম ও পোশাক সম্পর্কে শিক্ষকের সহায়তায় আলোচনা কর।
গারো, খাসি, ম্রো এবং ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর পোশাকের নাম একটি হকে লেখ ।
* মনে কয় তোমার একজন ত্রিপুরা বন্ধু আছে সে তোমাকে তাদের নববর্ষের উৎসব 'বৈসু' তে আমন্ত্রন করেছে, তুমি এ উৎসবে গিয়ে কী কী করবে?
বাক্যটি সম্পূর্ণ কর :
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বড় অংশ বসবাস করে ভারতের……………………………………………………………………………………।
আরও দেখুন...